#পর্ব ৪
রিফাত-- চাচা আপনি এসব কি বলেন? আমি কি ভাবে বড় ভাইয়ের বউকে বিয়ে করব। যে ভাই আমাদের জন্য এত কিছু করলো?
চাচা-- রিফাত, বাবারে আল্লাহ মানুষ কে সৃষ্টি করেছেন একটা মৃতু শরীর দিয়ে। এই শরীরের চাহিদা মত নানান যন্ত্র সেট করছেন। যেমন একটা গাড়ী,তার বডি দিয়ে চলতে পারে না ইন্জিন ছারা। আবার শুধু ইন্জিন দিয়ে চলতে পারে হয়তো কিন্তু তার কর্ম করতে পারে না। মানুষ টা তেমন বাবা, সে একজন যুবতী নারী।
কোন এক সময় তার শরীর তার চাহিদা চাইবে। এটা শুধু ইসু না, তার দেখাশোনার জন্য হলেই একজন দরকার। আমি বিশ্বাস করি তুমি বড় হয়ছো।
তোমাকে খুলে বলতে হবে না।
তবে আর একটা কথা বলি,, তুমি যখন অন্য একটা মেয়েকে বিয়ে করবে সে মেয়ে কিন্তু তোমার ভাবির সাথে কথা বলতে দিবে না,তোমার ভাবির দায়িত্ব ও নিতে দিবে না। তখন তোমার ভাবির দায়িত্ব কে নিবে? আবার আমিনুল কিন্তু তোমাদের জন্য করতে গিয়ে তার বউ বাচ্চার জন্য কিছু করতে পারে নাই। অথেব তুমি একটু ভেবে দেখবে আজকেই বলতে হবে না।
তুমি সময় নাউ হাতে।
রিফাত -- চাচা কি বলব বুজতে পারছি না।
আমি কিছুই বুজতে পারছি না। পুরা মাথা যেন হ্যাং হয়ে গেছে। এক দিকে নিজেকে অপরাধী ভাবি। ভাইটা আমাদের মুখে খাবার তুলে দিতে গিয়ে কত না কষ্ট করছে। সেই ভাইটা আজ নাই, রেখে গেছে তার ফুটফুটে একটা বাচ্চা।
চাচা-- বাবা, কি বলব? আমারও বয়স হয়ে গেছে। তোমার বাবার মত আমারও চলে যাইতে হবে। তার আগে যদি তোমাকে আর রিমি বৌ মাকে একটা ব্যবস্তা করে দিয়ে যাইতে পারতাম মনে প্রশান্তি পাইতাম।
যাক বাবা চিন্তা ভাবনা করে তুমি আমাকে বলিও।
রিফাত বিষয়টা নিয়ে বেশ চিন্তায় পরে যায়। কি ভাবে কি? আবার চাচা যেটা বলছে সেটাও সত্য কথা।
আমি বিয়ে করলে তখন যদি আমার বউ ও প্রতিবেশীদের মত আমাকে আর ভাবিকে সন্দেহ করে। তখন তো আর ভাবি বাড়িতে থাকতে পারবে না।
তখন যাবে কোথায়? আবার যদি ভাবির অন্য জায়গায় বিয়ে হয় তাহলে আমার ভাতিজীর যে আমার ভাইয়ের নামটা বহন করে।তার বা কি হবে?
ভাবি আর ভাতিজীর কথা চিন্তা করে না হয় মেনে নিলাম। কিন্তু এই কথা ভাবিকে কি ভাবে বলি?
আর যদি চাচাকে দিয়ে বলাই ভাবি তো আবার খারপ কিছু ভাববে না?
আবার যদি এটা ভাবে, আমার কুনজর তার উপর পরছে। ধ্যাত,, কি যে করি?
মনে হয় চাচাকে দিয়ে বলানোর চাইতে আমার নিজের বলাটা ভাল হবে। ভাবি খুব সহজে আমাকে জবাব দিতে পারবে। কিন্তু চাচাকে তা পারবে না।
অবশেষে রিফাত যায় রিমির কাছে।
রিফাত-- ভাবি তোমার মা,যে তোমাকে নিতে চায়। তা কি তুমি জানো?
রিমি -- হে জানি।
রিফাত-- তারা তো তোমাকে নিয়ে বিয়ে দিবে অন্য জায়গায়
রিমি-- কি করার আছে? প্রতিবেশীরা যে ভাবে তোমার সাথে আমাকে নিয়ে বলাবলি শুরু করছে। তাতেঁ তো এখানে থাকা আমার পক্ষে কঠীন। আমি তো নারী জবাব দিলেও সমেস্যা আবার না দিলে কতক্ষণ সহ্য করা যায়? আর তোমার তো বিয়ের সময় হয়ছে।
কেউ তো বিয়ে দিবে না। তাই ভাবছি মেয়েটাকে সাথে করে নিয়ে না হয় কোথাও একটা চাকরী বাকরী করে চলব।
রিফাত-- ভাবি তোমাকে যে কি ভাবে বলি বুজতে পারছি না। আবার তোমরা যাও তাও আমি চাই না।
ভাই আমাদের জন্য যা করছে নিজের জীবন দিয়ে আর তার বউ বাচ্চা আজ যদি ভেসে বেড়ায়? তাহলে নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না।
রিমি-- কি করবে তুমি? আর তোমার তো বিদেশ যাবার সময় হল।
রিফাত রিমির পা জড়িয়ে ধরে,,,,, কান্নার কন্ঠে বলে ভাবি তোমাকে আমি যাইতে দিব না।
আমি তোমাকে সন্মান করি কখনও অন্য নজরে দেখি নাই। কিন্তু তোমাকে আটকানোর পথ একটাই তোমার সাথে আমার বিয়ে।
আমি শুধু ভাতিজীর কথা চিন্তা করে তোমাকে বলছি।
ভাবি তুমি কিছু মনে করো না। আর কেউ জানুক বা না জানুক তুমি তো জানো। আমি তোমাকে কতটা সন্মান করি? কিন্তু এমন একটা পরিস্থিতি এটা ছারা আর কোন রাস্তাও খোলা নাই। রিমিও কেদেঁ ফেলে।রিমির চোখের পানি রিফাতের কপালে এসে পরছিল।
চুপচাপ থাকে রিমি,, কিছুই বলে না।
রিফাত ওখান থেকে চলে যায় তার চাচার কাছে।
চাচাকে সব ব্যবস্হা করতে বলে।
চাচা রিমির মা,কে ডেকে আনে।
রিমির মা,কে প্রস্তাব দেয়। রিমির মা,বিষয়টা মেনে নিলেও রিমি রাজি হয়তে ছিল না।
অনেক বুজানোর পর রাজি হয়।
অবশেষে তাদের #নিকাহ পড়ানো হয়।
যতটুকু এখুন জানি,, তারা বেশ সুখে সংসার করছে।
রিফাতের ঘরে এখুন একটা ছেলে আর বড় ভাইয়ের মেয়েকে নিজের মেয়ের মত ভালবাসে।
-- সমাপ্ত
লেখাঃ Marazul Islam Sagar
No comments:
Post a Comment